
Oplus_131072
নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম,বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন এবং আক্রমণের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এরই মধ্যে নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী কুয়াইশ সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নন্দন কুমার বড়ুয়াকে মারধোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনা।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উক্ত বিদ্যালয়ে কিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে স্থানীয় যুবদল নেতা এবং সন্ত্রাসী আকবর আলী এবং ডায়মন্ড এই ঘটনার উস্কানিদাতা হিসেবে ভূমিকা পালন করে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের নেতৃত্বে একটি দল প্রধান শিক্ষক নন্দন কুমার বড়ুয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তাকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে।
এই জঘন্য ঘটনার পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশ জানিয়েছেন, আকবর আলী ও ডায়মন্ড দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত। তাদের প্রভাবের কারণে প্রশাসন কার্যত নিরব ভূমিকা পালন করছে।
একজন শিক্ষক, যিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছিলেন, তাকে এভাবে লাঞ্ছিত করা শুধু অমানবিক নয়, এটি বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার উপর গভীর প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে।
সংখ্যালঘু সংগঠন এবং মানবাধিকার কর্মীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। তাদের মতে, এ ধরনের ঘটনা শুধু সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে আরও বিপন্ন করে তুলছে না, বরং পুরো দেশের সামাজিক বন্ধনকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
এদিকে প্রশাসনের তরফে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে এলাকাবাসী ও সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণের এই প্রবণতা আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। এ ধরনের ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে, দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা আরও ভঙ্গুর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।