
দ্যা ইউনাটেড ত্রিপুরা প্রতিনিধি অনুপম পাল,বাংলাদেশ, যে দেশটি একসময় স্বাধীনতার চেতনায় আলোকিত ছিল, যেখানে “জয় বাংলা” স্লোগান ছিল জাতির মুক্তির প্রেরণা, সেই দেশ আজ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। খুন, ধর্ষণ, লুটপাট যেন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় মানবতার মানচিত্রে কোথায় বাংলাদেশের পরিচিতি? কোথায় সেই শান্তির বাংলাদেশ?
১৭ ডিসেম্বর রাতে, যখন সারা দেশ হয়তো একবেলা শান্তিতে ঘুমানোর চেষ্টা করছে, তখন চাপাইনবাবগঞ্জের মাটি রক্তে রঞ্জিত হলো। নাচোল উপজেলার খলশী গ্রামের ছাত্রলীগের নেতা মাসুদ রানা এবং ফতেপুর গ্রামের রায়হানকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের অপরাধ? দেয়ালে “জয় বাংলা” স্লোগান লেখা। এটি কি কোনো অপরাধ হতে পারে? যে স্লোগানটি বাংলাদেশের জাতির ঐতিহ্যের প্রতীক, সেই স্লোগান লেখার জন্য প্রাণ দিতে হলো দুই তরুণকে!
অভিযোগ উঠেছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সে দেশে রাজনীতি আজ কি এতটাই কলুষিত যে, ভিন্নমতের জন্য তরুণদের হত্যা করা হয়? রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু তার জন্য একজনের জীবনের প্রদীপ নিভিয়ে দেওয়া—এ কেমন বর্বরতা?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি শুধুই দর্শকের ভূমিকা পালন করবে? ন্যায়ের দাবি তুলবে কে? যারা দেশকে নেতৃত্ব দেবে, তারাই যদি ব্যর্থ হয়, তবে সাধারণ মানুষের রক্ষাকর্তা কে হবে?
সেখানকার একজন দায়িত্বশীল নাগরিক বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের এখন সময় এসেছে মানবতার পক্ষে রুখে দাঁড়ানোর। আমরা আর কতদিন মেরুদণ্ডহীন জাতি হয়ে থাকব? এই হত্যাকাণ্ড শুধু দুই তরুণের মৃত্যু নয়,এটি আমাদের সমাজ, আমাদের মূল্যবোধ এবং আমাদের ভবিষ্যতের মৃত্যু। বাংলাদেশ কি এভাবেই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে, নাকি আমরা সবাই মিলে এই অন্ধকারকে প্রতিহত করব?
এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত,দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সহ কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে আর খালি না হয় তার দাবি জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় জনসাধারণ। অনেকে এও বলেছেন, “জয় বাংলা” শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি আমাদের চেতনা। এই চেতনাকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।