কৈলাসহর,নিজস্ব প্রতিনিধি,কৈলাসহরের ভগবান নগর এলাকা থেকে কৈলাসহর মৎস্য বাজার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ফার্মেসিতে চলছে অবৈধ প্যাথলজিক্যাল ল্যাব এবং চিকিৎসকদের প্রাইভেট ক্লিনিক। জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন ও অন্যান্য ফার্মেসিতে এভাবে চিকিৎসা সেবা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চালানোর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু ফার্মেসির মালিক অধিক মুনাফার আশায় তাদের দোকানের ভেতরে চিকিৎসকদের প্রাইভেট ক্লিনিক স্থাপন করেছেন। সেখানে চিকিৎসক রোগী দেখার পর রক্ত ও অন্যান্য পরীক্ষার পরামর্শ দিলে সেই ফার্মেসিতেই নিয়োজিত কর্মীরা রোগীর কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে রিপোর্ট প্রদান করছেন।
জেলা হাসপাতালের পাশে একটি ফার্মেসি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে প্যাথলজিক্যাল ল্যাব পরিচালনা করলেও স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, ফার্মেসিগুলোর এই কার্যকলাপ প্রকৃত প্যাথলজিক্যাল ল্যাবগুলোর ক্ষতি করছে। এছাড়া, চিকিৎসার মান ও পরীক্ষার রিপোর্টের সঠিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিছু রোগী ও তাদের স্বজনরা ইতোমধ্যে রাজ্যের এসিস্ট্যান্ট ড্রাগ কন্ট্রোলারের কাছে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের নীরব ভূমিকা আশ্চর্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, অজানা কারণে স্বাস্থ্য দপ্তর বিষয়টি উপেক্ষা করছে।
এ বিষয়ে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “ফার্মেসিগুলোতে চিকিৎসা সেবা ও পরীক্ষার নামে যা চলছে, তা রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা আশা করছি, স্বাস্থ্য দপ্তর দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।”
জানা গেছে, কয়েকজন রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ফার্মেসির নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ জানাবেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
অবৈধভাবে প্যাথলজিক্যাল ল্যাব পরিচালনা করা শুধু আইন লঙ্ঘন নয়, এটি জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি। স্বাস্থ্য দপ্তর এবং ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের উচিত অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে সাধারণ মানুষ সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন।