ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগের দাবিতে ফের বিক্ষোভ।

আগরতলা,নিজস্ব প্রতিনিধি,রাজ্যে ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগের দাবিতে ফের উত্তাল হলো আগরতলা। শনিবার উমাকান্ত স্কুলের সামনে চাকরি প্রত্যাশীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। প্রায় দুই বছর আগে নেওয়া শারীরিক এবং লিখিত পরীক্ষার ফলাফল আজও প্রকাশিত হয়নি। এই দীর্ঘ অপেক্ষায় হতাশ হয়ে পড়েছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ফল প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক।

২০২১ সালে ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিসে ৩২৯টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সারা রাজ্যের প্রায় ১,৭০০ জন চাকরি প্রত্যাশী শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়। তবে এর পর থেকে কোনো খবর নেই। মন্ত্রী এবং দপ্তরের দরজায় বারবার ঘুরেও চাকরি প্রত্যাশীরা কোনো সমাধান পাননি।

ফায়ার সার্ভিস দপ্তর জানিয়েছে, নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল মুখ্যমন্ত্রীর টেবিলে আটকে আছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত এলেই এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ এবং ভাইভা পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। তবে এই দেরিতে চাকরি প্রত্যাশীরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের মতে, দপ্তরের অদক্ষতা এবং সরকারের উদাসীনতার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

চাকরি প্রত্যাশীরা শনিবার বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের অধিকর্তার নিকট ডেপুটেশন জমা দেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ফলাফল দ্রুত প্রকাশ না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কাছে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখে শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ দিতে।

চাকরি প্রত্যাশীদের অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে প্রচুর শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোচ্ছে না। বেকার যুবক-যুবতীদের হতাশার কারণে অনেকেই নেশার মতো বিপথে পা বাড়াচ্ছেন।

ফায়ার সার্ভিসের চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলন শুধু একটি নিয়োগের দাবিই নয়, বরং রাজ্যের বেকার যুবসমাজের হতাশা এবং সরকারের উদাসীনতার একটি উদাহরণ। এই পরিস্থিতি কত দ্রুত সমাধান হয়, তা নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। চাকরি প্রত্যাশীরা আশা করছেন, এবার অন্তত তাঁদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হবে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।