
আসন্ন ভিলেজ কাউন্সিল ও টিটিএএডিসি নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রস্তুতির কথা বললেও পাহাড়ি এলাকায় সংগঠনগতভাবে বিজেপি এখনও দুর্বল—এমনই রাজনৈতিক মহলের অভিমত। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পর অবশেষে ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন ঘিরে তৎপর হয়েছে প্রদেশ বিজেপি। তবে পাহাড়ি জনজাতি সমাজে শক্ত ভিত গড়ে তুলতে বিজেপির কাছে কার্যত বিকল্প নেই। আর তাই মথা ও আইপিএফটির সঙ্গে জোটকেই আঁকড়ে ধরে লড়াইয়ের ময়দানে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এমনটাই সুত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা মঙ্গলবার জনজাতি মোর্চার সাংগঠনিক বৈঠকে দাবি করেছেন, ভিলেজ কমিটি হোক বা এডিসি নির্বাচন—বিজেপি পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু ভেতরে ভেতরে উদ্বেগ কাটছে না গেরুয়া শিবিরে। পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের দুর্বলতার কারণে বিজেপির একক শক্তিতে ভোটে টিকে থাকা কঠিন। ফলে আবারও মথার সহায়তায়ই নির্বাচনে নামতে এক প্রকার বাধ্য হচ্ছে বলে দলের বিশেষ সুত্র জানিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এতদিন যিনি উপেক্ষিত ছিলেন সেই প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরার হাতেই এখন সংগঠনের লাগাম তুলে দিতে চাইছে প্রদেশ নেতৃত্ব। পাহাড়ে জনজাতি সমাজে তার প্রভাব থাকলেও দেরিতে তাকে কাজে লাগানোর কৌশল কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের ভেতরেই।
বিজেপির দাবি, বর্তমান সরকার জনজাতি উন্নয়নে কাজ করছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতিতেই পাহাড়ের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। তবে বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, পাহাড়ে সংগঠন দুর্বল হওয়ায় এবং স্বতন্ত্রভাবে ভোটে লড়াই করার সক্ষমতা না থাকায়, শেষপর্যন্ত বিজেপিকে আবারও মথার কাঁধেই ভর করতে হচ্ছে।
আসন্ন এডিসি ভোটে এই সমীকরণই যে মূল ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে, তা নিয়ে সংশয় নেই কোনো রাজনৈতিক মহলে।