
Oplus_131072
প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের নির্মম হত্যাকাণ্ড গোটা দেশকে শোকস্তব্ধ ও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এই বিভীষিকাময় ঘটনার প্রতিবাদে দেশের প্রতিটি কোণ থেকে উঠে এসেছে একটাই দাবি—এই নৃশংসতার বদলা চাই, দ্রুত চাই।
এই জঘন্য ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে এক কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছেন। আজ, ২৪ এপ্রিল, সন্ধ্যা ৬টায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে সব প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের স্বার্থে রাজনীতি নয়—এই বার্তাই দিয়েছেন বিরোধী দলগুলোর নেতৃত্ব। কংগ্রেস সভাপতি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “এখন রাজনীতি করার সময় নয়, এটা দেশের পাশে দাঁড়ানোর সময়।” তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়ে অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারাও সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যেই পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচ শীর্ষ সন্ত্রাসবাদীর নাম ও পরিচয় চিহ্নিত করেছে। লস্কর-ই-তৈবা ও টিআরএফ-এর অপারেশন প্রধান সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কসৌরি এই হামলার মূল মস্তিষ্ক। তার সঙ্গে জড়িত আলি ভাই ওরফে তলহা ভাই, হাসিম মোসা ওরফে সুলেমান, আদিল হোসেন থোখার এবং আসিফ ফুজির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই পাঁচজন জঙ্গির সন্ধান দিতে পারলে জনপ্রতি ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তথ্যদাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে। চারজন হামলাকারীর স্ক্যাচ ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা সংস্থা, চলছে তীব্র চিরুনি তল্লাশি।
পহেলগাঁওয়ের রক্তাক্ত ঘটনায় আজ দেশের আকাশ জুড়ে শুধুই প্রতিজ্ঞার গর্জন—“এই বর্বরতার প্রতিশোধ চাই, এখনই চাই!”
দেশবাসী আর শুধু নিন্দা নয়, দেখতে চাইছে কড়া প্রতিক্রিয়া। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই বার্তাই যেন প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে—এবার রেহাই নয়, জবাব চাই।
দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনে যারা নিরীহ প্রাণ কেড়ে নেয়, তাদের জন্য এই মাটিতে আর কোনো জায়গা নেই—এটাই আজ ভারতের চূড়ান্ত বার্তা।