
Oplus_0
সমাজে যখন মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর দাবি উঠছে, তখনই নেশাগ্রস্ত এক তরুণীর লাগামহীন তাণ্ডবে স্তম্ভিত দেবীপুর এলাকা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কে অসংলগ্ন অবস্থায় নেচে-কুঁদে, চিৎকার করে, যানবাহন চালকদের হয়রানি করে এবং আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে সম্পূর্ণ জনজীবন অচল করে তোলে মেঘা রানি ত্রিপুরা (২৬)। ধুমাছড়া থানা এলাকার এই যুবতীর এমন কাণ্ডে পুলিশ এবং দমকল বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেঘা রাণী এর আগেও উনকোটি জেলার কুমারঘাটের পাবিয়াচড়া বাজার এলাকায় একাধিক বিতর্কিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। এমনকি, তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগও রয়েছে বহুদিন ধরে। মঙ্গলবারের ঘটনা যেন সেই সমস্ত অভিযোগকে নতুন করে সত্য প্রমাণ করল। একজন মহিলা হয়ে নিজেই যখন সমাজের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে, তখন তা নিঃসন্দেহে লজ্জাজনক ও গভীর উদ্বেগের।
মনু থানার পুলিশ এবং মনু দমকল বাহিনী মিলিতভাবে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় – কেন এতদিন প্রশাসন চুপ ছিল? কেন বারবার অভিযোগ উঠলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি?
দেবীপুরের সাধারণ মানুষ এখন প্রশ্ন তুলছেন, প্রশাসনের এই নিষ্ক্রিয়তা কি মাদক কারবারিদের সঙ্গে কোনও অশুভ যোগসাজশের ইঙ্গিত দিচ্ছে? স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তাদের স্পষ্ট বার্তা – মাদক ব্যবসা এবং এই ধরণের সমাজবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।