ফটিকরায়,প্রতিনিধি,ফটিকরায় বিধানসভার পূর্ব মশাউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের বনগাঁও এলাকায় নদী ভাঙন প্রতিরোধের বোল্ডার প্রকল্প নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দেড় কোটি টাকার এই সরকারি প্রকল্পে চলছে নিম্নমানের কাজ, যা প্রকল্পের উদ্দেশ্যকেই ব্যর্থ করে দিতে পারে।
ওয়াটার রিসোর্স দপ্তরের অধীনে এক মাস আগে শুরু হওয়া এই কাজের শুরু থেকেই অভিযোগ উঠছে। এলাকাবাসীর দাবি, সিমেন্টের বদলে বালির ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম প্রকল্পটির গুণগত মান নষ্ট করছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন এলাকাবাসী কাজ পরিদর্শনে যান, তখন ঠিকাদার সুব্রত ঘোষ ও সত্যসুন্দর সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক প্রধানের ভাসুর সন্তোষ ধর কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
সুব্রত ঘোষ, যিনি পশ্চিম মশাউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান, বর্তমানে বড় ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এবং আরও চারজন প্রভাবশালী ঠিকাদার মিলে এই প্রকল্প পরিচালনা করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সরকারি অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এই ধরনের নিম্নমানের কাজ করে প্রকল্পের আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে।
এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা চাই প্রকল্পটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হোক। নদী ভাঙন রোধ না হলে এলাকার মানুষজন বিপদের মুখে পড়বে। কিন্তু এই কাজের মান দেখে বোঝা যাচ্ছে, এটি টেকসই হবে না।”
সন্তোষ ধরের মতে, “সরকারি প্রকল্পের টাকা লুটপাট করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে। এটি জনগণের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা।”
অন্যদিকে, মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে একই ধরনের নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এই কাজের তদন্ত করা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম নিয়ে এই ধরনের অভিযোগ কোনো নতুন ঘটনা নয়। তবে, নদী ভাঙনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এমন অনিয়ম ভবিষ্যতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভূমিকা এখন এই পরিস্থিতি সমাধানে কতটা কার্যকর হয়, সেটাই দেখার বিষয়।