
নিজস্ব প্রতিনিধি | ধর্মনগর
২১শে জুন, বিশ্বজুড়ে পালিত হল ১১তম আন্তর্জাতিক যোগা দিবস। ত্রিপুরার শান্তি ও সংস্কৃতির শহর ধর্মনগরেও এই দিনটি পালিত হয় যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহের সঙ্গে। রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দফতর ও উত্তর ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের কেন্দ্রস্থল ছিল বিবেকানন্দ সার্ধ শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা ও ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা শাসক চাঁদনী চন্দ্রন, জেলা সভাধিপতি অপর্ণা নাথ, সহ-সভাপতি ভবতোষ দাস, সমাজসেবী কাজল দাস, ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন মিতালী রানী দাস সেন সহ একাধিক বিশিষ্টজন।
এই দিনটি উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল নজরকাড়া। সকলেই একত্রে যোগাভ্যাসে অংশগ্রহণ করে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার বার্তা ছড়িয়ে দেন। যোগব্যায়ামের মাধ্যমে সামগ্রিক স্বাস্থ্যচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন বক্তারা।
উক্ত অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বলেন,“যোগা শুধু শরীর চর্চা নয়, এটি আমাদের আত্মিক উন্নতির পথ। নিয়মিত যোগাভ্যাস আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মনোযোগ ও স্মরণশক্তি উন্নত করে এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই প্রাচীন ভারতীয় সাধনার প্রচার আজকের দিনে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গেছে, তা আমাদের সকলের গর্বের বিষয়।”
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন তাঁর বক্তব্যে বলেন,“ত্রিপুরা এক সাংস্কৃতিক রাজ্য। আমাদের উচিত যোগার মতো ইতিবাচক চর্চাগুলো সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে দেওয়া। শিশুদের স্কুল জীবন থেকেই যোগাভ্যাসে উৎসাহিত করলে ভবিষ্যতের সমাজ আরও সুস্থ ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।”
ধর্মনগরের এই যোগা দিবস উদযাপন প্রমাণ করল যে, স্বাস্থ্যচেতনা আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ কিভাবে একত্রিত হয়ে সমাজে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে। প্রাচীন ভারতীয় ধ্যানচর্চা যোগা আজ শুধুমাত্র সাধনার পদ্ধতি নয়, বরং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত একটি জীবনদর্শন—যা ধর্মনগরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আরও একবার প্রতিফলিত হল।