
নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা
আজ মহাকরণে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হলেন ত্রিপুরা সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবং ভারতের ষোড়শ অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ অধ্যাপক মানিক সাহা এবং ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ডাঃ অরবিন্দ পানাগড়িয়া। এছাড়াও অর্থ কমিশনের সম্মানিত সদস্যগণ এবং রাজ্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল রাজ্যের আর্থিক পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কেন্দ্রীয় অনুদানের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা। ত্রিপুরার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে এ ধরনের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৈঠকে রাজ্যের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি, রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং বাজেট সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষত, পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি এবং সামাজিক কল্যাণ সংক্রান্ত খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়। এছাড়া, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার বিষয়েও মতবিনিময় হয়।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বৈঠকে রাজ্যের উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, “ত্রিপুরার সার্বিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই অর্থ কমিশন আমাদের রাজ্যের চাহিদাগুলিকে যথাযথ গুরুত্ব দিক, যাতে পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব হয়।”
অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ডাঃ অরবিন্দ পানাগড়িয়া রাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক নীতিগুলির প্রশংসা করে বলেন, “ত্রিপুরার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব। স্বচ্ছ প্রশাসন ও কার্যকরী পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজ্যের আর্থিক কাঠামো আরও দৃঢ় হবে।”
এই বৈঠক রাজ্যের ভবিষ্যৎ আর্থিক পরিকল্পনা ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থ কমিশনের সুপারিশ এবং রাজ্য সরকারের নীতিগুলোর মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
ত্রিপুরার অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রাজ্যের ভবিষ্যৎ আর্থিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে এবং সাধারণ জনগণের জীবনমানের উন্নতিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।