
Oplus_131072
প্রতিবেদন অনুপম পাল, কৈলাসহর
ত্রিপুরার চা শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও অবহেলার অবসান ঘটাতে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে ত্রিপুরা টি-ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন আজ কালীশাসন চা-বাগানের ম্যানেজারের কাছে দশ দফা দাবিসংবলিত ডেপুটেশন প্রদান করেছে। সংগঠনের নেতৃত্বে চা শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের দাবি উত্থাপন করেন এবং দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এই ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, তপন উরা ও আদর মনি উরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) চন্ডিপুর অঞ্চল কমিটির সম্পাদক দেবাশীষ চন্দ, অঞ্চল কমিটির সদস্য নন্দলাল দেবনাথ ও জীবন দেবনাথসহ অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিকদের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষায় উত্থাপিত দশ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—চা পাতা নিরিখে শ্রমিকদের উপযুক্ত আর্থিক মূল্য প্রদান নিশ্চিত করা।শিশুদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ক্রাশ (দোলনা কেন্দ্র) সুবিধা চালু করা। শ্রমিকদের ঘর মেরামতির জন্য অর্থ বর্ষার আগেই প্রদান করা।বাগানের অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ী করার কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। এছাড়াও আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি তারা তুলে ধরেন।
সংগঠনের তরফ থেকে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের মুখোমুখি হয়ে শ্রমীক নেতৃত্ব কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন চা-বাগান কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী শ্রমিকদের দিয়ে কাজ চালাচ্ছে, কিন্তু তাদের স্থায়ীকরণের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এটি শ্রমিকদের প্রতি চরম অবিচার। তিনি অভিযোগ করেন যে বর্তমান সরকার মালিকদের স্বার্থরক্ষা করছে, শ্রমিকদের নয়। বামফ্রন্ট সরকারের সময় যে মজুরি কাঠামো চালু ছিল, তা এখনো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এতে শ্রমিকদের জীবনমান ক্রমশই অবনতি হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে যদি চা-বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবে সংগঠন।
এখন দেখার বিষয়, চা-বাগান কর্তৃপক্ষ ও সরকার শ্রমিকদের এই ন্যায্য দাবি পূরণে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।