✍️নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা
ত্রিপুরা কৃষিক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক ছুঁলো। রাজ্যের উৎপাদিত ২ হাজার কেজি জৈব ‘বার্ড আই চিলি’, যা স্থানীয়ভাবে ‘ধান্না মরিচ’ নামে পরিচিত, শুক্রবার বিশাখাপত্তনমে পাঠানোর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। আগরতলা রেল স্টেশনে পতাকা নেড়ে তিনি এই রপ্তানির সূচনা করেন।
মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, ত্রিপুরার জৈব কৃষি ধারাবাহিক উন্নতির পথে। গত পাঁচ বছরে রাজ্যে জৈব চাষের জমির পরিমাণ ২ হাজার হেক্টর থেকে বেড়ে ২০ হাজার হেক্টরে পৌঁছেছে। এর সঙ্গে জৈব কৃষকের সংখ্যা ২৫০০ থেকে ১৯ হাজার ৯০০-এ উন্নীত হয়েছে। জৈব ক্লাস্টারের সংখ্যাও ১৩২ থেকে ৯৪৪-এ উন্নীত হয়েছে, যা কৃষিক্ষেত্রে রাজ্যের সফলতার সাক্ষী।
তিনি বলেন, “এই প্রথমবার আমরা বার্ড আই মরিচ রপ্তানি করছি। এটি জৈব কৃষির উন্নতির দৃষ্টান্ত।” ধলাই, গোমতি ও উত্তর ত্রিপুরার কৃষকদের কাছ থেকে সংগৃহীত এই ২ হাজার কেজি মরিচের বাজারমূল্য ১১ লক্ষ টাকা।
এই রপ্তানি সুস এগ্রি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড, বেঙ্গালুরুর সহায়তায় গোমতি জেলার ছবিমুড়া অর্গানিক ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেড দ্বারা সহজতর করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কম্পিটেন্স সেন্টার ফর অর্গানিক এগ্রিকালচার (ICCOA) এবং মিশন অর্গানিক ভ্যালু চেইন ডেভেলপমেন্ট ফর নর্থ ইস্ট রিজিয়নের (MOVCDNER) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে।
মন্ত্রী রতন লাল নাথ আরও জানান, রাজ্যের কৃষি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি উল্লেখ করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের সময় বিভিন্ন কৃষি পণ্য রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। সুগন্ধি চাল, কালো চাল, কালি খাসাসহ অন্যান্য পণ্য শীঘ্রই দেশের বাইরে যাবে।
এই উদ্যোগ ত্রিপুরার কৃষি খাতের টেকসই উন্নয়ন এবং জৈব পণ্যের ব্যাপক উৎপাদন ও বিপণনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।