
প্রতিনিধি অনুপম পাল, কৈলাসহর
২৯শে আগস্ট, জাতীয় ক্রীড়া দিবস। ভারতীয় ক্রীড়া ইতিহাসে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, কারণ এদিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন হকির জাদুকর মেজর ধ্যানচাঁদ। তাঁর জন্মদিনকে স্মরণে রেখেই প্রতি বছর দেশজুড়ে পালিত হয় এই দিন।
আজ, শুক্রবার সকালে সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঊনকোটি জেলার যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে শৈবতীর্থ ঊনকোটি প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় এক ঘণ্টার বিশেষ যোগ প্রদর্শনী। এ বছরের মূল শ্লোগান ছিল— “এক ঘন্টা, খেল কে ময়দান মেঁ”।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া সংগঠন ও স্থানীয় মানুষজনের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে ঊনকোটি তীর্থ এলাকা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও মেজর ধ্যানচাঁদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঊনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা তমাল মজুমদার। এছাড়াও ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন চপলা দেবরায়, চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সম্পা দাস পাল, মহকুমা শাসক বিপুল দাস, সমাজ শিক্ষা দপ্তরের জেলা পরিদর্শক বিদ্যাসাগর দেববর্মা ও জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার প্রমুখ।
স্বাগত ভাষণে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সহকারী পরিচালক অমিত কুমার যাদব বলেন, “জাতীয় ক্রীড়া দিবসে যোগ প্রদর্শনী আয়োজনের লক্ষ্য হলো তরুণ সমাজকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্রীড়ামুখী করে তোলা।”
সভাধিপতি অমলেন্দু দাস ধ্যানচাঁদকে স্মরণ করে বলেন— “তিনি শুধু একজন হকি খেলোয়াড় ছিলেন না, ছিলেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি, যার হাতের জাদুতে হকি খেলা পেয়েছিল নতুন পরিচয়।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ধ্যানচাঁদের জীবনী থেকে তরুণ প্রজন্মকে কঠোর পরিশ্রম, শৃঙ্খলা ও দৃঢ়সংকল্প শেখা উচিত।
বক্তারা মনে করিয়ে দেন, আজকের যুবসমাজ ক্রমশ মোবাইল ও নেশার জালে আটকা পড়ছে। ধ্যানচাঁদের জীবনই প্রমাণ করে— সত্যিকারের সাফল্য কেবল অধ্যবসায় ও মনোযোগের মাধ্যমেই সম্ভব। তাই তাঁকে অনুসরণ করলেই তরুণ সমাজ নতুন দিশা খুঁজে পাবে।অনুষ্ঠানে যোগাভ্যাসের মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপনের বার্তা যেমন ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তেমনি নতুন প্রজন্মকে ক্রীড়ার প্রতি আগ্রহী করে তোলার উপরও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।