
Oplus_0
সংবাদ প্রতিনিধি | অনুপম পাল | কৈলাসহর
ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার ৫০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ ঊনকোটি জেলা বিজেপির উদ্যোগে পাবিয়াছড়া মন্ডল কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “জরুরি অবস্থা: গণতন্ত্রের হত্যা ও কংগ্রেসের একনায়কতন্ত্রের নগ্ন রূপ”।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলা বিজেপি সভাপতি বিমল কর, মডিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল (এমডিসি)-এর সদস্য বিমল চাকমা, ঊনকোটি জেলা সভাধিপতি অমলেন্ধু দাস, পাবিয়াছড়া মন্ডল সভাপতি সন্তুষ ধরসহ দলের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ ও সমর্থকেরা।
জেলা সভাপতি বিমল কর তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে ভারতের জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে কংগ্রেস সরকার একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ঘোষিত জরুরি অবস্থা ছিল ভারতের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর ওপর সরাসরি আঘাত। আজ ৫০ বছর পরও সেই স্মৃতি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কীভাবে কংগ্রেস সংবিধানকে পদদলিত করেছিল।”
তিনি আরও বলেন,“অবৈধভাবে সাংবাদিকদের গ্রেফতার, সংবাদপত্রের কণ্ঠ রোধ, বিরোধী নেতাদের জেলে পুরে রাখা—এই সবই প্রমাণ করে কংগ্রেসের প্রকৃত চরিত্র। সেই সময় হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছিল। আজ যারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে স্বচ্ছতার কথা বলেন, তারাই একদিন এই দেশে গণতন্ত্রের কফিনে পেরেক ঠুকেছিল।”
এমডিসি বিমল চাকমা বলেন,“জরুরি অবস্থার সময় দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘু—সব সম্প্রদায়ের উপরই দমন-পীড়ন চালানো হয়েছিল। কংগ্রেস শুধু রাজনৈতিক বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করেনি, সাধারণ মানুষের জীবনকেও দুর্বিষহ করে তুলেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আজ ভারত যে মুক্ত গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে চলেছে, তা সম্ভব হয়েছে কংগ্রেসের একনায়কতান্ত্রিক নীতির বিরুদ্ধে দেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের ফলেই।”
তিনি আরও বলেন,“বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সালের সেই ভয়ঙ্কর সময়ের কথা। তাই বিজেপি দায়িত্ব নিয়েছে দেশের ইতিহাসের সেই বিকৃত অধ্যায় তুলে ধরতে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।”