
Oplus_0
প্রতিনিধি অনুপম পাল। কৈলাসহর
উত্তর ত্রিপুরায় বেআইনি বার্মিজ সিগারেট চোরাচালান রুখতে তৎপর ত্রিপুরা পুলিশ। ধর্মনগর থানার অধীনস্থ আনন্দবাজার এসপিও ক্যাম্পের নাকা চেকিং পয়েন্টে পুলিশের এক সফল অভিযানে ফের আটক হলো বিপুল পরিমাণ চোরাচালানি সিগারেট। গতকাল গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটে যখন একটি বিলাসবহুল গাড়ি (নম্বর: TR05G0597) সন্দেহভাজনভাবে চেকপোস্ট অতিক্রম করার চেষ্টা করে।
তৎক্ষণাৎ কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা গাড়িটিকে থামিয়ে তল্লাশি চালান। সেই সময় গাড়ির ভেতর থেকে সাতটি কার্টুনে গুছিয়ে রাখা অবস্থায় মোট ৭০,০০০ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান অনুযায়ী, এই বিপুল পরিমাণ সিগারেটের বাজারমূল্য আনুমানিক প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
ধর্মনগর থানার রাতের ডিউটিতে থাকা পুলিশ অফিসার সোলেমান রিয়াং তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের আটক করেন। ধৃত তিন যুবক হলেন দামছড়া এলাকার সৌরভ সিনহা, পানিসাগরের জামটিলা এলাকার প্রকাশ দেবনাথ ও বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তাদের বিরুদ্ধে চোরাচালান সংক্রান্ত আইনের অধীনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ধর্মনগর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া প্রতিটি কার্টুনে ১০,০০০টি করে বার্মিজ সিগারেট ছিল। সিগারেটগুলির কোনও বৈধ কাগজপত্র কিংবা কর সংক্রান্ত তথ্য ওই যুবকেরা দেখাতে পারেনি।
এই ঘটনাটি উত্তর ত্রিপুরা জেলায় বার্মিজ সিগারেট চোরাচালান রোধে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের অংশ। উল্লেখযোগ্য যে, গত মার্চ মাসে রাজনগর এলাকায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনার পর ৪০ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার হয়েছিল। তবে সেই ঘটনায় তৎক্ষণাৎ কেউ গ্রেফতার না হলেও পরে তদন্তের ভিত্তিতে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়, যাদের বিরুদ্ধেও চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে।
ধর্মনগর থানার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এ ধরনের বেআইনি ব্যবসা সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। তবে পুলিশ এখন আরও সক্রিয়ভাবে নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে। সোলেমান রিয়াং জানান, “চোরাচালান চক্র যতই সক্রিয় হোক, আমরা পিছু হটছি না। এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলতেই থাকবে।”