
২০২৪ সালের ২রা মার্চ দিল্লিতে স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল যে, তিপ্রা মথা কোনো ধরনের আন্দোলন বা প্রতিবাদে যাবে না, যা সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন স্বয়ং তিপ্রা মথার প্রধান প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেববর্মণ, যা ভারত সরকার ও ত্রিপুরা সরকারের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
কিন্তু চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেই রাজ্যে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তিপ্রা মথা। জনজীবন বিপর্যস্ত করে তারা বিক্ষোভ ও অবরোধের পথে হেঁটেছে, যা স্পষ্টতই চুক্তির পরিপন্থী। প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের এই সিদ্ধান্ত তার দেওয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সরকারের সঙ্গে করা চুক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সরকারি চুক্তির প্রতি এই অবজ্ঞা ভবিষ্যতে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে স্পষ্টতই, এই ঘটনা সাধারণ মানুষের মনে এক বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে—প্রদ্যোত কি সত্যিই জনগণের স্বার্থ রক্ষা করছেন, নাকি শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন?