প্রতিবছর গীতা জয়ন্তী দিনটি ভারতের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের এক মহৎ উপলক্ষ। এই দিনটি সেই পবিত্র ক্ষণের স্মৃতিচারণ, যখন মহাভারতের যুদ্ধক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে উপদেশ দিয়ে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা রচনা করেন। এটি শুধু একটি গ্রন্থ নয়, এটি ভারতীয় জীবনদর্শনের মূল ভিত্তি এবং কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগের গভীর নির্দেশনা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সামাজিক মাধ্যমে দেশের সমস্ত নাগরিককে গীতা জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, “গীতা আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা এবং ঐতিহ্যকে গাইড করে। এই মহান গ্রন্থের বার্তা আমাদের সকলকে কর্মযোগের পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণা জোগায়।”
গীতা জয়ন্তী উৎসবের তাৎপর্য শুধু ধর্মীয় গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,এটি এক সর্বজনীন দর্শনের প্রতীক। শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষায় যেমন বলা হয়েছে, “কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন”, অর্থাৎ আমাদের কাজ করাই দায়িত্ব, ফলাফলের চিন্তা নয়। এই মহান শিক্ষা বর্তমান যুগেও জীবনযাপনের এক আদর্শ পদ্ধতি হিসাবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করতে সারা ভারত জুড়ে মন্দিরে এবং অন্যান্য আধ্যাত্মিক কেন্দ্রগুলিতে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং যজ্ঞ। ভক্তরা গীতাপাঠ ও কীর্তনের মাধ্যমে নিজেদের অন্তর শুদ্ধ করার চেষ্টা করেন।
গীতা জয়ন্তীর গুরুত্ব আমাদের মনে করিয়ে দেয়, শুধু ধর্মীয় চর্চার মাধ্যমে নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কর্মযোগের মূলনীতি অনুসরণ করেই আমরা একটি উন্নত সমাজ গঠন করতে পারি। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার এই চিরন্তন বার্তা চিরকাল আমাদের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।
প্রতিনিধি অনুপম পাল
কৈলাসহর,ঊনকোটি ত্রিপুরা