কৈলাসহর লায়ন্স ও লিও ক্লাবের মানবিক প্রয়াস।

কৈলাসহর,প্রতিনিধি অনুপম পাল,শীতের কনকনে হাওয়ায় যখন জীবনের লড়াই আরও কঠিন হয়ে ওঠে, তখন কিছু মানবিক উদ্যোগ মানুষের মনে নতুন করে আশার আলো জ্বালিয়ে দেয়। কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাব ঠিক সেই রকমই এক মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। কৈলাসহর জলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনামুখীর রাচী পাড়ার পাহাড়ের কোলে থাকা প্রত্যন্ত অঞ্চলে শীতবস্ত্র বিতরণ করে তারা প্রমাণ করল, মানবতার সেবায় শ্রেষ্ঠত্বের কোনো সীমানা নেই।

মূল রাস্তা থেকে সদ্য পাহাড় কেটে তৈরি করা কষ্টকর পথ ধরে ক্লাবের সদস্যরা পৌঁছে গেলেন গ্রামবাসীদের কাছে। পাহাড়ের শীর্ষে অবস্থিত অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র হয়ে উঠল এক আবেগঘন অনুষ্ঠানের মঞ্চ। যেখানে গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলো কম্বল সহ অন্যান্য শীতবস্ত্র।

শুধু শীতবস্ত্র নয়, ক্লাবের এই উদ্যোগ যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের কাছে এক ভালোবাসার বার্তা পৌঁছে দেয়। যারা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছেন, তাদের জন্য এই শীতবস্ত্রগুলো শুধু শারীরিক উষ্ণতাই নয়, বরং মনে আশা আর সাহসের শিখা জ্বালিয়ে দেয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি সুপ্রিয় দেবরায়, কোষাধ্যক্ষ আশীষ সিনহা, সার্ভিস চেয়ারম্যান সঞ্জীব চৌধুরী, বিওডি সদস্য অলক কান্তি ধর, সহ-সভাপতি অর্চনা দও এবং সদস্য মুক্তা রায় ও অনিন্দিতা দেব। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও মানবিক চিন্তা গ্রামের মানুষের মনে এক গভীর ছাপ ফেলে।

অনুষ্ঠানে ক্লাব সভাপতি সুপ্রিয় দেবরায় বলেন, “আমরা চাই, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবনে সামান্য হলেও স্বস্তি এনে দিতে।”

এমন উদ্যোগ শুধু শীতার্তদের কষ্ট লাঘব করাই নয়, বরং সমাজের প্রতিটি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। মানবতার এই মশাল যেন জ্বলে ওঠে প্রতিটি হৃদয়ে, তাতে বিশ্বটাও হয়ে উঠবে আরও সুন্দর।

এই উদ্যোগ শুধু একটি সাহায্য নয়,এটি মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার এক অনন্য নিদর্শন। কৈলাসহর লায়ন্স ও লিও ক্লাব তাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেয়, প্রকৃত সুখ পাওয়া যায় মানুষের জন্য কিছু করার মধ্যে। এমনটাই অভিমত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মহকুমাবাসীর।