কৈলাসহর,প্রতিনিধি অনুপম পাল,ঊনকোটি জেলার মহকুমা সদর কৈলাসহরের ৫৩ নম্বর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি-র সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ডল সভাপতি প্রীতম ঘোষ। রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মন্ডল সভাপতি হিসেবে দলীয় সংগঠনকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। আলোচনা সলায় মন্ডল সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,ঊনকোটি জেলার সহ সভাপতি অমৃত কুমার ভট্টাচার্য্য,প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি হেমেন্দ্র কুমার দে সহ অন্যান্যরা।
প্রীতম ঘোষ দায়িত্ব গ্রহণের পরই বুথ সভাপতিদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এই সভায় তিনি দলের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। বুথ সভাপতিদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য ছিল সরাসরি এবং স্পষ্ট। তিনি বলেন, “২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও এবং ২০২৩ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরলেও ৫৩ নম্বর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আমরা কোনো প্রতিনিধি বিধানসভায় পাঠাতে পারিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও আশানুরূপ ফল অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছি।”
প্রীতম ঘোষ সাফ জানিয়ে দেন, যতদিন না এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, ততদিন কোনো দলীয় সংবর্ধনা বা উৎসব উদযাপন করা হবে না। পরিবর্তে, প্রত্যেক বুথ এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে “কার্যকর্তা মিলন পর্ব”। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দলের কার্যকর্তাদের মধ্যে আন্তরিকতার মিলন, আধ্যাত্মিক সংযোগ এবং সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।
প্রীতম ঘোষ জানান, আগামী ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে এই কার্যকর্তা মিলন পর্ব শুরু হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বুথ স্তরের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সাংগঠনিক ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে।
বিজেপি-র মন্ডল সভাপতির এই কড়া বার্তা এবং কার্যকরী পদক্ষেপ দলের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। প্রীতম ঘোষের মতে, শক্তিশালী সংগঠন ছাড়া নির্বাচনে সাফল্য সম্ভব নয়, আর এই কার্যকর্তা মিলন পর্ব সেই লক্ষ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বিজেপি-র এই নতুন কর্মসূচি কেবল দলের শক্তি বৃদ্ধির জন্য নয়, বরং স্থানীয় স্তরে জনসংযোগ বাড়িয়ে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।