
প্রতিনিধি চারুকৃষ্ণ কর
কৈলাসহর,ঊনকোটি ত্রিপুরা
কৈলাসহরের মানুষদের জন্য বিনোদনের নতুন দিগন্ত খুলে দিল লায়ন্স এমিউজমেন্ট পার্ক। সবুজ বনানী ও চা বাগান পরিবেষ্টিত ছনতৈল এলাকায় গড়ে ওঠা এই পার্কটি রাজ্যের অন্যতম সেরা বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠবে, এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি পার্কটির উদ্বোধন সম্পন্ন হলেও সরাসরি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। তবে কিছুদিনের মধ্যেই এটি সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন লায়ন্স ক্লাবের কার্যকরী সদস্য বিধান দাস।
সাড়ে সাত কানি জমির ওপর গড়ে উঠেছে এই পার্ক। এর মধ্যে দুই কানি জমি ১২ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে, আর বাকি জমির মধ্যে চার কানি বিমল ঘোষ তার পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এবং দেড় কানি মনিলাল সিনহা তার ভাইয়ের স্মরণে দান করেছেন। এই পার্কটি লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২২জি-এর অন্তর্ভুক্ত।
পার্কের মধ্যে রয়েছে পুকুর, খোলা ময়দান, বসার জায়গা ও আড্ডার পরিবেশ। ভবিষ্যতে এখানে বোটিং, জলপ্রপাত, ফোয়ারা, প্লাস্টিক-বর্জ্যমুক্ত অঞ্চল ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। পার্কটিকে একটি আধুনিক বিনোদনকেন্দ্রে রূপ দিতে আরও কিছু কাজ বাকি আছে, যা শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিধান দাস।
পার্কটি শুধু বিনোদনের কেন্দ্র নয়, বরং বিবাহ বার্ষিকী, জন্মদিন উদযাপন, শিক্ষামূলক ভ্রমণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-নির্ভর অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামের জন্যও ব্যবহারের সুযোগ থাকবে।
ইতোমধ্যে ৫০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে পার্ক নির্মাণে। পরবর্তী প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও অর্থের প্রয়োজন হবে। পার্কটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হলে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে কিছুটা অর্থ সংগ্রহ সম্ভব হবে। তবে এটি সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত পার্ক, তাই সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
কৈলাসহরের মানুষের জন্য এটি একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। লায়ন্স ক্লাবের এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিনোদনপ্রেমীদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি আদর্শ গন্তব্য হতে চলেছে।