
Oplus_131072
প্রতিনিধি অনুপম পাল
কৈলাসহর,ঊনকোটি ত্রিপুরা
কৈলাসহর বন উপ-বিভাগের উদ্যোগে এবং “গো গ্রীন ভলান্টিয়ার্স”-এর সহযোগিতায় ঊনকোটি জেলা গ্রন্থাগারের কনফারেন্স হলে এক বিশেষ বন অগ্নিকাণ্ড সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। বনাঞ্চল রক্ষায় এবং বন অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এই শিবিরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সাব ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার হিরন জয় রিয়াং, কৈলাসহর ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার শুভঙ্কর বিশ্বাস, “গো গ্রীন ভলান্টিয়ার্স” সংস্থার প্রতিনিধি মৃণাল সিনহা, গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান এবং বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা।
শিবিরে বন আধিকারিকগণ বন অগ্নিকাণ্ডের কারণ, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং পরিবেশের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে শুকনো মরশুমে বনাঞ্চলে আগুন লাগার ঘটনা বৃদ্ধি পায়, যা বনজ সম্পদ ধ্বংস করে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। স্থানীয় বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য এবং শিক্ষার্থীদের বন সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়।
গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ বদরুজ্জামান শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বন অগ্নিকাণ্ডের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো জুম চাষের সময় পাহাড়ি অঞ্চলে আগুন লাগানো। তিনি বন দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান যে, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের শিবির প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামাঞ্চলে আয়োজন করা উচিত। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আরও সচেতন হবেন এবং অনিচ্ছাকৃত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, উনকোটি জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন বনাঞ্চলে বনদস্যুদের দ্বারা নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে, যা পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন, এ ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ কঠোরভাবে দমন করতে এবং বনাঞ্চল রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে।
শিবিরে উপস্থিত বক্তারা বন অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান এবং বনভূমির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। তাঁরা বলেন, বন সংরক্ষণ শুধু বন বিভাগের দায়িত্ব নয়, বরং সাধারণ মানুষেরও এতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা উচিত।
আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে আরও এ ধরনের সচেতনতা শিবির আয়োজন করা হবে, যাতে বন ও পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং সাধারণ মানুষও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।