
প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
ত্রিপুরার ধলাই জেলার ছৈলেংটা থানার ঘাঘরাছড়া এলাকায় আজ সন্ধ্যায় অবৈধভাবে কুকুর পাচারকারী একটি গাড়ি আটক হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে ঘটনার চেয়েও বেশি ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে পুলিশের ভূমিকা ঘিরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই জঘন্য অপরাধের পরেও পুলিশ প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ‘রফাদফা’র চেষ্টা চালিয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ছৈলেংটা থানার পুলিশ নাকা চেকিং বসায় ঘাঘরাছড়া এলাকায়। সন্ধ্যার কিছু আগে এক সন্দেহভাজন গাড়িকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে একাধিক কুকুর উদ্ধার করা হয়—যেগুলো অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল বলে সন্দেহ। এই ঘটনায় গাড়ির চালকসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
তবে এখানেই থেমে থাকেনি ঘটনা।
আটকের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাটিকে প্রথমে গুরুত্ব দিতে চায়নি এবং বিষয়টিকে চুপিসারে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছিল। জনতার তীব্র প্রতিবাদ ও রোষানলের মুখে পড়ে অবশেষে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।স্থানীয়দের কড়া ভাষায় অভিযোগ, “এ একঘরোয়া অপরাধ নয়, এর পেছনে বড়সড় সিন্ডিকেট থাকতে পারে। কিন্তু পুলিশ তাদের দায়সারা ভূমিকা দেখিয়ে গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। যদি আমরা প্রতিরোধ না করতাম, তবে হয়তো আজ রাতেই অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে যেত!”
এদিকে পুরো ঘটনায় পুলিশের তরফে এখনও কোনো লিখিত বা স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কুকুর পাচারের মতো নৃশংস অপরাধকে ঘিরে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন জনসাধারণ। এই ঘটনায় শুধু পশুপ্রেমীরা নয়, সমাজের সচেতন মহলেও তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে।