
নিজস্ব প্রতিনিধি গন্ডাছড়া
ককবরক ভাষাকে রোমান হরফে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে তিপ্রা মথা দলের ছাত্র সংগঠন TISF-এর আহ্বানে আজ ত্রিপুরা জুড়ে বন্ধ পালিত হয়। এর প্রভাব গন্ডাছড়া, রইস্যাবাড়ি, গঙ্গানগরসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। গন্ডাছড়া মহকুমাও এই বন্ধের জেরে সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
বন্ধের ফলে গন্ডাছড়ার সমস্ত যানবাহন, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি অফিস, দোকানপাট বন্ধ ছিল। সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা ছিল একেবারে সীমিত, যান চলাচলও প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মহকুমার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে TISF-এর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করেন এবং তাদের দাবির পক্ষে শান্তিপূর্ণ শ্লোগান দিতে থাকেন।
গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতাল চৌমুহনী ও নারায়ণপুর চৌমুহনীতে সংগঠনের কর্মীরা সক্রিয়ভাবে অবস্থান নেন এবং প্রতিবাদ চালিয়ে যান। তাদের প্রধান দাবি— ককবরক ভাষাকে রোমান হরফে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে, যাতে ভাষার প্রসার ও সহজীকরণ সম্ভব হয়।
সাধারণ মানুষও এই বন্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন, ফলে আন্দোলন সফল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সরকার তাদের দাবির বিষয়ে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না নিলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবে।
সকাল থেকেই প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তবে আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবেই পরিচালিত হয় এবং কোথাও কোনো বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের মতামত জানতে চাইলে অনেকেই বলেন যে, ককবরক ভাষার উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের জন্য রোমান হরফে স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ এবং এ নিয়ে সরকারের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
এই আন্দোলনের পর সরকার বিষয়টি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।