
প্রতিনিধি অনুপম পাল
কৈলাসহর,ঊনকোটি ত্রিপুরা
ঊনকোটি জেলা কমিটির তৃতীয় ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজ্য সরকারের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মন্ত্রী সান্তনা চাকমা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবস্বর আলী, পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, জেলা পরিষদ সদস্য বিমল কর এবং ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘের (টি আর কে এস) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বিশ্বাস।
সম্মেলনের সূচনা হয় উদ্বোধনী সংগীতের মধ্য দিয়ে। এরপর অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট শিক্ষক পার্থ সারথী দত্ত স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় সম্মেলনের ইতিহাস, কর্মচারীদের সংগ্রাম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “২০১৬ সালে প্রথম এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তখন থেকেই কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরা একসঙ্গে লড়াই করে আসছি। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এই সংগঠন আজ শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই সম্মেলন শুধুমাত্র কর্মচারীদের একত্রিত করার একটি উপলক্ষ নয়, বরং এটি আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। সরকারের বিভিন্ন নীতি ও পদক্ষেপের আলোকে আমরা আমাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধাগুলি নিশ্চিত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।
সম্মেলনে কর্মচারীরা তাদের বিভিন্ন দাবি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। কর্মীদের কল্যাণে সরকারি পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার দিকগুলোও তুলে ধরা হয়।
পার্থ সারথী দত্ত বলেন, “আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষা করা, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলো সরকারের সামনে উপস্থাপন করা। কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ, বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতির সুযোগসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।”
এই সম্মেলন কর্মচারীদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। পার্থ সারথী দত্ত বলেন, “একতা ও সহযোগিতা আমাদের প্রধান শক্তি। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি, তাহলে অবশ্যই আমাদের দাবি বাস্তবায়িত হবে এবং কর্মচারীদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”
সম্মেলনে বক্তারা কর্মচারীদের ধৈর্য ধরে নিজেদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংগঠনের ভূমিকা আরও কার্যকর করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করা হয়।
সম্মেলনের শেষে পার্থ সারথী দত্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এই সম্মেলনের সাফল্য নির্ভর করছে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর। আমরা একসঙ্গে থাকলে, সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করা সম্ভব হবে।”
এই ত্রিবার্ষিক সম্মেলন কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান ও নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।