প্রতিনিধি অনুপম পাল
কৈলাসহর,ঊনকোটি ত্রিপুরা
ত্রিপুরার ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঊনকোটি জেলার নতুন জেলা সভাপতির নাম আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে দীর্ঘ দুই দশকের অভিজ্ঞ বিজেপি কর্মী এবং বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য বিমল করকে জেলা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি পবিত্র দেবনাথ, প্রদেশ সম্পাদক তাপস মজুমদার, ত্রিপুরা সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধায়িকা মলিনা দেবনাথসহ জেলার বিভিন্ন মন্ডল সভাপতি এবং বিভিন্ন মোর্চার পদাধিকারীরা।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ভারত মাতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর উপস্থিত নেতারা নবনিযুক্ত জেলা সভাপতির ভূমিকায় দলের প্রত্যাশা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, “মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলেছে বিজেপি সরকার। দলের সংগঠনকে আরও সুসংহত ও সংগঠিত করার লক্ষ্যে বিমল করকে জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি দলের সিনিয়র সদস্য এবং তাঁর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “জেলার মন্ডল সভাপতি নির্বাচনে যেমন যুব সমাজ, সামাজিক সমীকরণ এবং সংঘ পরিবারের ভূমিকা দেখা হয়েছে, তেমনই জেলা সভাপতির ক্ষেত্রেও মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব, যুব নেতৃত্ব এবং অভিজ্ঞতার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এই জেলায় তিনজন মন্ত্রী রয়েছেন, যাদের ওপর মানুষের অনেক আশা-প্রত্যাশা রয়েছে। জেলা সভাপতি এবং মন্ডল সভাপতিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে জনগণের আশা পূরণ করতে হবে।”
প্রদেশ সম্পাদক তাপস মজুমদার তাঁর বক্তব্যে বলেন, “দল নবনিযুক্ত জেলা সভাপতির ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখেছে। বিমল করের নেতৃত্বে বুথ স্তর থেকে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে।” তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ও পরামর্শ মেনে কাজ করার এবং নতুন দিশায় দলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নবনিযুক্ত সভাপতির প্রতি আহ্বান জানান।
নতুন জেলা সভাপতি বিমল কর দায়িত্ব গ্রহণ করে বলেন, “দলের আস্থা এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। সংগঠনের প্রতিটি স্তরে একতা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে দলকে আরও শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য।”
সভা শেষে নতুন সভাপতি বিমল করকে সঙ্গে নিয়ে একটি র্যালি আয়োজন করা হয়। র্যালিটি জেলা কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে চণ্ডিপুর বিধানসভা পর্যন্ত পৌঁছায়। এই র্যালি কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঞ্চার করে।
এই নতুন নেতৃত্বের অধীনে বিজেপির সংগঠন আরও শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল হবে বলে আশাবাদী দলের নেতাকর্মীরা।