
🔹প্রতিনিধি নিজস্ব,কৈলাসহর
৩রা ফেব্রুয়ারি, সারা রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মতো কৈলাসহরের ঐতিহ্যবাহী নেতাজি বিদ্যাপীঠ ইংরেজি মাধ্যম উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর আরাধনা অনুষ্ঠিত হয়। পূজার সমাপ্তির পর দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণে প্রসাদ উদ্বৃত্ত রয়ে গেছে। সমাজের প্রান্তিক মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত নিয়ে সদ্য গঠিত নেতাজি বিদ্যাপীঠ প্রাক্তন ছাত্রসমিতি এই উদ্বৃত্ত খাবারের সদ্ব্যবহার করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকার মাধ্যমে ছাত্রসমিতির কাছে খবর পৌঁছায় যে অনেক প্রসাদ অব্যবহৃত থেকে গেছে। এ খবর পাওয়া মাত্রই ছাত্রসমিতির সদস্যরা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এবং দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেয়, এই খাবার যেন অভুক্ত ও অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
সেই মোতাবেক, রাত ৮টার সময় ছাত্রসমিতির কিছু স্বউদ্যোগী সদস্য প্রথমে কৈলাসহরের মূক-বধির বিদ্যালয়ে গিয়ে সেখানে থাকা ১০ জন আবাসিক ছাত্রছাত্রীর হাতে খাবার তুলে দেন। এরপর তাঁরা শহর ছাড়িয়ে চলে যান রাংরুং চা বাগান সংলগ্ন এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে, যাঁরা নিত্যদিনের খাদ্য সংগ্রহেও সমস্যার সম্মুখীন হন।
ছাত্রসমিতির এই মানবিক উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং সমাজসেবার ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভবিষ্যতেও তারা এ ধরনের উদ্যোগ চালিয়ে যাবেন বলে জানান নেতাজি বিদ্যাপীঠ প্রাক্তন ছাত্রসমিতির সম্পাদক গৌরব রায়।
এই উদ্যোগ শুধু মাত্র খাবারের সঠিক ব্যবহারেরই নয়, বরং সমাজের অবহেলিত মানুষদের প্রতি মানবিক দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। এ ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আরও প্রসারিত হোক, এই কামনা করেছেন শহরের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।