
প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
রমজান মাসের সিয়াম সাধনার পর আজ ঈদুল ফিতরের খুশিতে মাতোয়ারা কৈলাসহরের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় কৈলাসহর বাবুরবাজার জামিয়া ইসলামিয়া হোছাইনিয়া মাদ্রাসা ও টিলাবাজার জামে মসজিদে। বাবুরবাজার মাদ্রাসায় ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন হাফিজ আব্দুল সামাদ, আর টিলাবাজার মসজিদে নামাজ পড়ান মৌলানা ক্বারী সৈয়দ শাহনাহাজ। এছাড়াও পশ্চিম বাজার জামে মসজিদ, রাঙ্গাউটি মসজিদ, নূরপুর মসজিদ, লক্ষ্মীপুর মসজিদ, গৌরনগর মসজিদ, ভগবাননগর মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
ঈদ উপলক্ষে টিলাবাজার ও বাবুরবাজার মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে নানা ধরনের খেলনা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের এই আনন্দঘন মুহূর্তে রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবস্বর আলী ও গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান রাজ্যবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
বদরুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, “প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে কর্মচারীদের আগাম বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়, অথচ এবার তা করা হয়নি। এছাড়াও, রেগার শ্রমিকরা টানা তিন মাস কাজ করার পরও আজ পর্যন্ত তাদের পাওনা ভাতা পাননি।” তিনি আরও বলেন, “হরিয়ানা সরকার এই বছর ঈদের ছুটি বন্ধ করে দিয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে আমি আল্লাহর কাছে এই পবিত্র দিনে সকল নাগরিকের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করছি।”
ঈদ শুধুমাত্র মুসলমানদের উৎসব নয়, বরং এটি সর্বজনীন আনন্দের বার্তা বহন করে—এমনটাই মনে করেন বদরুজ্জামান। তিনি বলেন, “এই ঈদ শুধু সংখ্যালঘু মুসলমানদের উৎসব নয়, বরং সব সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে এই আনন্দে শামিল হন।”
নিরাপত্তার দিকটিও যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়েছে। ঈদের দিন বাবুরবাজার ও টিলাবাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর মোতায়েন ছিল। কৈলাসহর থানার ওসি সুকান্ত সেন চৌধুরী ও ইরানি থানার ওসি অরুণোদয় দাস সরেজমিনে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
এই আনন্দের দিনেও কিছু অসন্তোষ ও অভিযোগ রয়ে গেছে, তবে সামগ্রিকভাবে ঈদের উৎসব শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশেই পালিত হয়েছে।