
মারধর, হামলা, লুটপাটে উত্তপ্ত উত্তর জেলার ধর্মনগর মহকুমা।
প্রতিনিধি অনুপম পাল,কৈলাসহর
ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর মহকুমার কালাছড়া ব্লক এলাকায় আগর গাছ কেনা–বেচা কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের পাশাপাশি অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ, আগর গাছ চুরি সন্দেহে দুই যুবক—আবুল ফজল ও জুবের আহমেদকে কয়েকজন দুষ্কৃতী মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। একদল মানুষ কদমতলা থানায় জড়ো হয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। পুলিশও দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেয়।
এরই মাঝে ঘটনায় নতুন মোড় আসে। জানা যায়, মারধরের প্রধান অভিযুক্ত কালাছড়ার হুরুয়া এলাকার আব্দুল মালিক আশ্রয় নেয় তার আত্মীয় কর্নাল আলি ওরফে বিল্লালের বাড়িতে। অভিযোগ, এরপর একদল যুবক সশস্ত্র অবস্থায় ওই বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়, মহিলাদের মারধর করা হয় এবং নগদ ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুটপাট হয়। হামলায় সায়েনা বেগম, রোছতানা বেগম, হামিদা বেগম সহ অন্তত ছয়জন আহত হন।
পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল মালিককে আটক করে কদমতলা থানায় নিয়ে আসে। অন্যদিকে কর্নাল আলির পরিবার চুরাইবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে হারানো টাকা উদ্ধারের দাবি এবং হামলাকারীদের শাস্তির আর্জি জানিয়েছে।
নদিয়াপুর শনিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অযোধ্যা কান্ত দাস বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এভাবে কারও বাড়িতে হামলা চালানো মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুলিশের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে। তদন্তেই সত্য সামনে আসবে।”
অপরদিকে কদমতলা থানায় আহত আবুল ফজল ও জুবের আহমেদের পক্ষ থেকেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনায় দ্বিমুখী তদন্ত শুরু হয়েছে—একদিকে আগর গাছ চুরি সন্দেহে মারধরের মামলা, অন্যদিকে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ। বর্তমানে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।