
Oplus_131072
✍️প্রতিবেদন অনুপম পাল,কৈলাসহর
ধলাই জেলার কমলপুর বিধানসভার দেবীছড়া চৌমুহনী এলাকা। সাধারণ এক সন্ধ্যা, যখন সকলেই ব্যস্ত নিজেদের জীবনের ছোট-বড় কর্মকাণ্ডে। ঠিক তখনই ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা আমাদের মনুষ্যত্বের প্রতি ভরসা বাড়িয়ে দেয়।
মন্ত্রী সুধাংশু দাস, যিনি শুধুমাত্র একজন জনপ্রতিনিধি নন, একজন সজাগ মানবিক মননের ধারক। সরকারী অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে এক অসুস্থ বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখে থমকে গেল তাঁর যাত্রা। গাড়ির জানালা দিয়ে সেই বৃদ্ধের অসহায় চেহারা তাঁর হৃদয়ে যেন একটা ধাক্কা দিল। মন্ত্রী আর এক মুহূর্তও অপেক্ষা করেননি। গাড়ি থামিয়ে নেমে এলেন তিনি।
সাধারণত সমাজের উঁচু মহলের মানুষরা নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, কিন্তু সুধাংশু দাস যেন এই নিয়মের বাইরে। বৃদ্ধের কাছে গিয়ে প্রথমেই তাঁর অবস্থা যাচাই করলেন। চারপাশে ছুটোছুটি করে লোকজনকে ডেকে এনে বৃদ্ধের বাড়িতে খবর পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন। এমনকি আরক্ষা দপ্তরকে দ্রুত খবর দিয়ে বৃদ্ধকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেন। মন্ত্রীর এই পদক্ষেপ শুধু দায়িত্বপালন নয়, বরং হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা এক মানবিক সাড়া।
যখন একজন মানুষ সাধারণের জন্য, বিশেষত অসহায় কারও পাশে দাঁড়ান, তখন তার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা বেড়ে যায় বহুগুণ। আশপাশের লোকেরা মন্ত্রীর এই মানবিক মুখ দেখে হতবাক। এক বৃদ্ধের প্রতি এই সহমর্মিতা তাঁদের মনে আশা জাগিয়েছে। উপস্থিত একজন স্থানীয় বাসিন্দা বললেন, “মন্ত্রী সুধাংশু দাস আজ আমাদের দেখালেন কীভাবে মানুষের সেবা করা উচিত। শুধু ভাষণে নয়, কাজে তিনি তার প্রমাণ দিলেন।”
এই ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তিগত উদ্যোগ নয়; এটি একটি বার্তা—অসহায় মানুষদের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধের। সুধাংশু দাস যেন নিজের কাজ দিয়ে সবাইকে দেখালেন, জনপ্রতিনিধি হওয়া মানে শুধু ক্ষমতার প্রয়োগ নয়, বরং মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতাও।