আগরতলা নিজস্ব প্রতিনিধি,ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ১০০তম জন্মদিবস উদযাপিত হলো বুধবার। ত্রিপুরার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে এদিন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মিমি মজুমদার, মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিধায়িকা কল্যাণী রায়, বিধায়ক ভগবান দাসসহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং কর্মীরা।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর স্মৃতিচারণ করে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, “মানুষের জন্য তাঁর কাজ এবং নেতৃত্ব এখনও দলকে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর দেখানো পথেই বিজেপি এগিয়ে চলেছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দিনটিকে সুশাসন দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন, যা বাজপেয়ীর জনগণের প্রতি গভীর সম্পর্ক ও দায়িত্ববোধকে প্রতিফলিত করে।”
এদিন রাজ্যের প্রতিটি মণ্ডল ও বুথে সুশাসন দিবস উদযাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রদেশ সভাপতির মতে, এবছর সুশাসন দিবসটি এক বছরের কর্মসূচি হিসাবে পালন করা হবে। এর অংশ হিসেবে প্রয়াত অটলজির জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা হবে।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারের সময় স্বাধীনোত্তর ভারতের প্রকৃত বিকাশ যাত্রা শুরু হয়েছিল। তাঁর নেতৃত্বে জাতীয় সড়ক উন্নয়ন, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেলিকম বিপ্লব, পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প, এবং কার্গিল যুদ্ধের সাফল্যের মতো মাইলফলক অর্জিত হয়। তাঁর সরকারের গরিব কল্যাণমূলক পদক্ষেপ ও সুদৃঢ় নীতিমালা আজও স্মরণীয়।
রাজীব ভট্টাচার্য জানান, “অটলজির আদর্শ ও কর্মসূচি আগামী দিনে দল ও রাজ্যের নেতাদের উজ্জীবিত করবে। তাঁর দেখানো পথে এগিয়ে চলেই বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হবে।”
এই উদযাপন শুধুমাত্র অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নয়, বরং তাঁর কর্মকাণ্ড ও আদর্শকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি প্রয়াস। আগামী দিনেও এই আদর্শে এগিয়ে যাবে দল, এমনই প্রত্যাশা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের।