
Oplus_0
প্রতিনিধি। অনুপম পাল। কৈলাসহর
আজ বিকেলে কৈলাসহর জেলাশাসক কার্যালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার অগ্রগতি এবং সদ্য সমাপ্ত ‘ধরতি আবা জন ভাগীদারি’ অভিযানের ফলাফল তুলে ধরেন ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক তমাল মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক এল. ডার্লং, সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের জেলা পরিদর্শক বিদ্যাসাগর দেববর্মা প্রমুখ কর্মকর্তারা।
জেলাশাসক তমাল মজুমদার জানান, গত ১৫ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চলা ১৫ দিনের এই অভিযানে সতেরটি এডিসি ভিলেজের অন্তর্গত একুশটি পাড়ায় সরাসরি প্রচার এবং ক্যাম্পের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পুরো অভিযানে বিভিন্ন দপ্তর একসাথে কাজ করেছে মিশন মোডে, যার ফলে ৩৭,৮০০ জন মানুষ এই সেবা থেকে উপকৃত হয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা শাসক জানান,২,০০০টি আধার কার্ড ইস্যু করা হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের।স্বাস্থ্য শিবিরে ৯ জন টিবি রোগী চিহ্নিত হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর আয়ুষ্মান যোজনায় ১,৫৫৯ জন উপকৃত হয়েছেন।মোট ১,৮০৩ জনকে সরাসরি এসটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।২০ জন ভূমিহীনকে জমির পাট্টা প্রদান করা হয়েছে।২৮৫ জন কৃষক কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পেয়েছেন।৬৭২ জনকে বিভিন্ন পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ২৩টি পরিবার ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় এসেছে।৭৯০ জন এই বীমা প্রকল্পের আওতায় আসেন।উজ্বলা যোজনায় ২৮৭টি নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে।পিএম বিশ্বকর্মা যোজনায় ১৯ জন হস্তশিল্পী উপকৃত হয়েছেন।নতুন ৩৮৬টি রেশন কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।১৫১ জন ক্ষুদ্র উদ্যোগ উদ্যোক্তা মুদ্রা যোজনার ঋণের জন্য নির্বাচিত হন।
জেলাশাসক আরও জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের চাহিদা জানার ভিত্তিতে পুরো পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হয়েছে। যেকোনো রকমের পরিষেবা যাতে কারো থেকে বাদ না পড়ে, তার জন্য দপ্তরসমূহ যৌথভাবে স্যাচুরেশন মুডে কাজ করেছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই অভিযানের মাধ্যমে উপজাতি এলাকায় মোট ১৯টি নতুন অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র মঞ্জুর হয়েছে, যার মধ্যে ১৮টি এক জুলাই থেকেই চালু হয়েছে। বাকি একটি শীঘ্রই চালু হবে। এতে উপজাতি এলাকায় প্রায় ১০০ শতাংশ শিশু এখন অঙ্গনওয়াড়ী সেবার আওতায় এসেছে বলে জানান জেলাশাসক।
সব মিলিয়ে “ধরতি আবা জন ভাগীদারি অভিযান” উপজাতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা ও সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই অভিযান সরকারের জনমুখী নীতির বাস্তব প্রমাণ বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।