কৈলাসহর,প্রতিনিধি অনুপম পাল,শীতের মধ্যরাতে বড়দিন উদযাপন শেষে যখন কৈলাসহর জুড়ে শান্তি আর নিস্তব্ধতা, তখনই শহরের ঐতিহ্যবাহী শিশু নিকেতন বিদ্যালয়ের একটি দল শুরু করল তাদের স্বপ্নপূরণের যাত্রা। আটজন প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি দাস এবং নাট্য নির্দেশক অমরজিৎ সরকারের নেতৃত্বে, রাজধানী দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি জমালেন।
রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দিল্লির জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিজ্ঞান নাট্য উৎসব। গত নভেম্বরে গৌহাটিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ দলের স্বীকৃতি অর্জন করে শিশু নিকেতন এই জাতীয় স্তরের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ লাভ করে। এটি দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় মঞ্চে তাদের প্রতিনিধিত্ব। ফলে বিদ্যালয় এবং গোটা কৈলাসহর শহর আনন্দে আত্মহারা।
এই দলের ছাত্রছাত্রীরা হলেন মনস্রিতা পাল, স্বস্তি মালাকার, নিকিতা মালাকার, প্রিয়াঙ্কা দাস, রিপসিকা দাস, কৌশিক পাল, অতনু ভট্টাচার্য, এবং মৌ বাধ্যকর। তারা মঞ্চস্থ করবে “আর্থ ফার্স্ট অলওয়েজ” নামক নাটক, যা রচনা ও নির্দেশনা করেছেন রাজ্যের প্রতিভাবান নাট্য নির্দেশক অমরজিৎ সরকার।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি দাস বলেন, “জাতীয় স্তরে দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ করতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই সাফল্য শুধু আমাদের বিদ্যালয়ের নয়, বরং গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য একটি মাইলফলক। নাটক সমাজকে প্রভাবিত করার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। বিজ্ঞান চেতনার উন্মেষে নাটকের ভূমিকা অমূল্য।”
বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় স্তরে এই দলের সফলতা কামনা করা হয়েছে। শহরের সংস্কৃতিপ্রেমীরা আশা করছেন, দলটি তাদের সৃজনশীলতা এবং মেধার মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে গর্বিত করবে। এই ঐতিহাসিক যাত্রা শুধু বিদ্যালয়ের নয়, বরং কৈলাসহরের জন্যও একটি বড় প্রাপ্তি।
নাটক “আর্থ ফার্স্ট অলওয়েজ”-এর মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার যে বার্তা দেওয়া হবে, তা সারা দেশকে প্রভাবিত করবে বলে আশাবাদী প্রত্যেকে।